ফের ফিক্সিং ইস্যু: আলোচনায় খালেদ মাহমুদ সুজন
আপলোড সময় :
১১-০৪-২০২৫ ১২:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-০৪-২০২৫ ১২:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নতুন যোগ দেওয়া গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ঘিরে চলছে তীব্র বিতর্ক। ক্লাবটির কোচ ও সেক্রেটারি খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অর্থের বিনিময়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার। খালেদ মাহমুদ একই সঙ্গে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারিও। ফলে দুই ক্লাবেই রয়েছে তার প্রভাব।
অভিযোগ রয়েছে, গুলশান ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে তাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বিপিএলের দল ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে সরাসরি তার দিকেই।
ঢাকা লিগে কিছু ম্যাচে অস্বাভাবিক ও প্রশ্নবিদ্ধ আউট নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে সর্বশেষ বুধবারের দুটি আউট এতটাই দৃষ্টিকটু ছিল যে, তা নজর কেড়েছে সবার। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ফেসবুকে লিখেছেন, "এমন আউট শুধু নাটকে দেখা যায়। একজন প্রকৃত ক্রিকেটার নিজের ইচ্ছায় এটা করতে পারে না। এর পেছনে কারও নির্দেশ আছে, এবং সেই মাস্টারমাইন্ডদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতেই হবে।"
একজন সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "এই ঘটনার পেছনে কারও নির্দেশ না থাকলে এমন কিছু সম্ভব নয়। তদন্ত করে দায়ী ক্লাব ও ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে।"
বর্তমানে দশ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গুলশান রয়েছে চতুর্থ স্থানে, বিপরীতে মাত্র এক জয় নিয়ে শাইনপুকুর আছে টেবিলের তলানিতে।
বিতর্কের মুখে থাকা খালেদ মাহমুদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ব্যাটাররা কি করেছে সেটা আমি কিভাবে জানি? আমি তো এবার শাইনপুকুরের কোচ নই।"
সবার আঙুল তার দিকেই উঠছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি সেক্রেটারি বলে কি আমি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করি? যদি আমার কথাতেই সব চলত, তাহলে গুলশানকে সাড়ে তিনশ রান করতে দিতাম। আমি ওইদিন ড্রেসিংরুমেই যাইনি। আর ধরুন আমি কিছু বলেছি, তার মানে কি ব্যাটাররা হুবহু আমার কথামতো খেলবে?"
তার যুক্তি, "ভালো খেলোয়াড়েরাও ভুল করতে পারে। হয়তো ব্যাটার মেরে দিতে গিয়ে মিস করেছে। কিন্তু আপনাদের কেন মনে হচ্ছে আমি নির্দেশ দিয়েছি?"
ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্ন—এটা নিছক খেলার ভুল, না কি গভীর কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ? তদন্ত ছাড়া এ প্রশ্নের উত্তর এখনও অনিশ্চিত। তবে ক্রিকেটের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স